খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইসি গঠনে সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি পালিয়েছে
  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তিন সহযোগী গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত

ভুয়া সনদে কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্নাতক পাশের ভুয়া সনদ দিয়ে শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ আহসান হাবিব নামের এক বিএনপি নেতা। গেল ৩ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগ করা হয়।

বিষয়টি জানার পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি দেখে অবাক হয়েছেন।

বিদ্যুৎসাহী সদস্য হওয়া মোঃ আহসান হাবিব চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা এবং চিতলমারী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ পরিচালনা কমিটির ম্যানুয়াল অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্যকে অবশ্যই স্নাতক পাশ হতে হবে। কিন্তু মোঃ আহসান হাবিব নামের ওই ব্যক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সনদ প্রদান করেছেন, সেটি নকল। ওই সনদপত্র অনুযায়ী তিনি ১৯৯৭ সালে পাশ করেছেন। তার রোল নং ৭১১২,রেজি নং ১৫১১৯৭। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টেবুলেশন বইয়ে এই রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারের সামনে অকৃতকার্য্য লেখা রয়েছে। এছাড়া ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজী বিদ্যৎসাহী সদস্য অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আবেদন করেছিলেন, ওই আবেদনে আহসান হাবিবের নাম ছিল না।

এ বিষয়ে মোঃ আহসান হাবিব বলেন, আমি দুইবার ডিগ্রী পরীক্ষা দিয়েছিলাম। প্রথমবার অকৃতকার্য হয়েছি এটা সত্য, দ্বিতীয়বার আবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাগজপত্র দেয়া হয়েছে, সেখানে ভুলে আমার ছেলে প্রথমবার দেওয়া পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়েছে। যার ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে৷

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টেবুলেশন বইয়ে আপনার নামের সামনে অকৃতকার্য লেখা আছে এমন প্রশ্ন করলে আমি এলএলবি পাশও করেছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজী বলেন,আসলে এই সনদ যাচাইয়ের সুযোগ আমার নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে মনোনীত করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!